ঢাকা,বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় তালের শাঁস বিক্রির ধুম,ক্রেতাদের বেড়েছে কদর

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::
বৈশ্বিক করোনা ভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের চলমান সংক্রমণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে লকডাউনের পর অসহায় দিনমজুর পেটের দায়ে বেরিয়ে এসেছেন গ্রামে গঞ্জে কিংবা হাটবাজারে। জীবিকার তাগিদে চলছেন আপন গতিতে। এই প্রেক্ষিতে কক্সবাজারের চকরিয়ায় বেশ কিছুদিন থেকেই বিভিন্ন হাটবাজারে,পাড়ায় -মহল্লায় কিংবা ভ্যানে ফেরি করে সুস্বাদু তালের শাঁস বিক্রির ধুম পড়েছে। সব বয়সের মানুষের কাছে প্রিয় এই তালের শাঁস। শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে বেশ ভূমিকা রাখে এই ফল। এই তালের শাঁসে রয়েছে বিভিন্ন রকমের ওষুধি গুণও।শুধু তালের শাঁসই নয়, তালের রস, তালের গুড়, পাকা তাল, তালের পিঠা, পাকা তালের বিচির শাঁস এসবই অত্যন্ত মজাদার ও উপাদেয় খাবার। আর তালের দীর্ঘজীবনের প্রায় পুরোটা সময়ই ফল দেয়। মৌসুমি এই ফলের মাসে বিভিন্ন ফলের সঙ্গে তাল শাঁসেরও কদর বেড়েছে।
শনিবার সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার রাস্তাঘাট, ফুটপাতসহ বিভিন্ন জায়গায় প্রদক্ষীণ করে দেখা গেছে, সুস্বাদু এই ফলটির বিক্রেতারা হাঁসুয়া বা ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাল কেটে শাঁস বের করছে, আর ক্রেতারাও আগ্রহ নিয়ে কিনছেন।
তালশাঁসের গুণাগুণ সম্পর্কে উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক টিএস ডা: মাহবুবুল আলম বলেন, তালের শাঁস শরীরকে নানা রোগ থেকে রক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। তালশাঁসের জলীয় অংশ শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। প্রাকৃতিকভাবে দেহকে রাখে ক্লান্তিহীন। হৃদরোগ ঝুঁকি কমায়, ক্যালসিয়াম ও হাড় গঠনে অনন্য ভূমিকা বহন করে, লিভারের সমস্যা দূর করে,ত্বকের যত্ন উপাদেয় হিসেবে কাজ করে, রক্ত শুন্যতা দূর করে,ভিটামিন সি ও বি কমপ্লেক্স পানিপানের তৃপ্তি বাড়ায়। এছাড়া রুচি বাড়াতে সাহায্য করে। দৃষ্টিশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে, এন্টি অক্সিডেন্ট শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। বমিভাব আর বিস্বাদ দূর করতে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তালের শাঁস।
উপজেলার তালশাঁস বিক্রেতা গিয়াস উদ্দীন জানান, প্রতিটি তালে ২ থেকে ৩ টি শাঁস থাকে, প্রতিটি তাল গড়ে ২০থেকে ২৫ টাকা বেচাকেনা হয়। প্রতিটি তালের পাইকারি দাম ৮ থেকে ১০ টাকা। গরম পড়লে তালের শাঁস অনেক ভালো বিক্রি হয়েছে। কয়েকদিন ধরে টানা গরমে উপজেলার কয়েকটি এলাকায় জনসমাগম কম থাকায় বেচাবিক্রি একটু কম হলেও সংসার এবং পেটের দায়ে ভ্যানগাড়ি দিয়ে পাড়া মহল্লায় গিয়ে বিক্রি করছেন বলে জানান মৌসুমী ফল বিক্রেতা।

পাঠকের মতামত: